শেষ পর্যায়ে এসে ভালোই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বাছাইপর্ব
এসব উঁচু ভেন্যুতে খেলাটা এত কঠিন কেন? সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরের দিকে যাওয়া যায়, বাতাসের চাপ ততটাই কমতে থাকে। এতে করে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। ২০০১ সালে ব্রাজিল দল বলিভিয়ার হাতে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। কারণ, খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজে, ৩ হাজার ৬৩৭ মিটার উচ্চতায়। ৬ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বের গোলশূন্য ম্যাচকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়েছিলেন ব্রাজিল অধিনায়ক নেইমার।
শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ছাড়াও রয়েছে বল নিয়ন্ত্রণের ঝামেলা। হালকা বাতাসের স্তরে ইউরোপীয় ফুটবল নিশ্চিত ব্যাহত হবে। ক্রস বা লব করা কঠিন হয়ে পড়ে। খেলোয়াড়দের কাছে বল অসম্ভব ভারী মনে হয়। শারীরিক সামর্থ্যের কঠিন পরীক্ষা নেয় উঁচু স্টেডিয়ামের খেলা।
কোপা লিবার্তোদোরেসের (দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়নস লিগ) ইতিহাসে উচ্চতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামে ৬২ শতাংশ ম্যাচে জয় পেয়েছে স্বাগতিক দল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বলিভিয়াকে বাদ দিয়ে হিসাব করলে মাত্র ৫ শতাংশ ম্যাচে সফরকারীরা জয় পেয়েছে। ইকুয়েডরের মাঠে ১৬ বছর ধরে জয়হীন আলবিসেলেস্তেরা। ইতিহাস ঘেঁটে তাই আশাজাগানিয়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না সাম্পাওলির শিষ্যদের জন্য।
তবে প্রথমার্ধে পিছিয়ে না পড়লে আশানুরূপ ফল পেতে পারে ’৮৬ সালের বিশ্বকাপ বিজয়ীরা। কনমেবল অঞ্চলে বাছাইপর্বের ইতিহাসে এ রকম স্টেডিয়ামে ৫৮ শতাংশ গোল এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে। তাই শেষ ম্যাচে বেঞ্চ শক্তিশালী রাখাও ভীষণ জরুরি। সূত্র: স্ট্যাটজোন, উইকিপিডিয়া।
No comments